গত বৃহস্পতিবার লোকসভায় পাশ হল আধার ও অন্যান্য আইন সংক্রান্ত বিল, 2019। এই বিলের মাধ্যমে আধার ব্যবহার ও গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে নিৰ্দিষ্ট নিয়মাবলী পালন করা না হলে জরিমানা চালু করা হবে।
ইউনিয়ন ল মিনিস্টার রবি শঙ্কর প্রসাদ এই বিলটির মাধ্যমে আধার এক্ট 2016 সংশোধন করতে চেয়েছেন, যার মাধ্যমে ইন্ডিয়ান টেলিগ্রাফ 1885 ও ইন্ডিয়ান মানি লন্ডারিং এক্ট 2002 সংশোধন করা যাবে।
বিতর্কে অংশগ্রহন করে প্রসাদ বলেন, বিলটি জনগণের হিতার্থে এবং নাগরিক-কেন্দ্রীয় ছিল এবং এটি জনসাধারণের সুবিধা প্রদানের জন্য ইউআইডিএআই আরও জোরালো প্রক্রিয়া তৈরি করবে এবং আধারের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করবে।
বিলের সংশোধনী নিয়ে প্রসাদ দাবি করেন যে, কোনও ব্যক্তিকে তার পরিচয় প্রতিষ্ঠার জন্য আধার নম্বর দেওয়ার জন্য বাধ্য করা হবে না, যতক্ষণ না সংসদ কর্তৃক প্রদত্ত আইনের দ্বারা এটি বলা হচ্ছে।
এই বিলটির ফলে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য KYC ডকুমেন্ট হিসাবে আধার নম্বর দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।
তিনি আরো জানান,” এই বিলের সংশোধনির ফলে অনলাইন অথিন্টিকেশন ও অফলাইন ভেরিফিকেশনের জন্য কোন ব্যক্তির সম্মতি থাকলে তবেই আধার নম্বর ব্যবহার করা যাবে। 12 ডিজিটের আধার নম্বরের একটি ভার্চুয়াল আইডেন্টিটি থাকবে যার ফলে আসল নম্বরটি সবাই জানতে পারবে না। যেসব শিশুদের আধার নম্বর আছে, তারা পূর্ন বয়স্ক হলে এই ভার্চুয়াল আইডেন্টিটি ব্যবহার করতে পারবে।”
আধার নাম্বার ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই নতুন আইন কতটা কার্যকরী হয়ে তা সময়ই বলবে, আধার চালু হওয়ার পর থেকে প্রায় সব ক্ষেত্রে নাগরিকত্বের প্রমান হিসাবে আধার ছিল একমাত্র নথি, তাই এই রদবদল জনসাধারণের জীবনে যে এক নতুন পরিবর্তন আনবে তা বলাই বাহুল্য।