দিনের পর দিন টেলিকম কোম্পানিগুলো লোকসানে চলায় সরকার ভয়েস কল ও ডেটার জন্য মিনিমাম প্রাইস বেঁধে দিতে পারে। আর এই সবই ঘটেছে সুপ্রিম কোর্টের এক নির্দেশের পর। প্রসঙ্গত তিন সপ্তাহ আগে সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশ অনুযায়ী, AGR বাবদ Vodafone-Idea এবং Airtel কে কয়েক হাজার কোটি টাকা সরকারকে দিতে হবে। আপনাকে জানিয়ে রাখি গত ১৪ বছর ধরে AGR (এডজাস্টেড গ্রস রেভিনিউ ) এর কারণে দেশের বড় বড় টেলিকম কোম্পানিগুলোকে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। এরপরেই সরকার ভাবনাচিন্তা করতে শুরু করেছে কিভাবে কোম্পানিগুলোকে লাভের রাস্তায় ফেরানো যায়। আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেলিকম মন্ত্রক টেলিকম সংস্থাগুলির জন্য ভয়েস এবং ডেটার সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে বিবেচনা করছে।
সরকার মনে করছে ফ্রি বা অত্যন্ত সস্তা ভয়েস এবং ডেটা ট্যারিফের কারণে টেলিকম সংস্থাগুলি গত কয়েক বছরে ভুগছে। একই সাথে, স্পেকট্রাম এবং লাইসেন্সের দামও খুব বেশি, যার কারণে টেলিকম সংস্থাগুলি প্রতিনিয়ত লোকসানের শিকার হচ্ছে। গত কোয়ার্টারে দেশের দুটি বড় টেলিকম সংস্থা ভোডাফোন-আইডিয়া এবং এয়ারটেল মোট ৭৪,০০০ কোটি টাকা লোকসান করেছে। এই কারণে সেক্রেটারি অফ কমিটি (সিওএস) এই বিশাল ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে ভয়েস কলিং এবং ডেটার জন্য ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণের কথা বিবেচনা করছে।
প্রসঙ্গত টেলিকম কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক TRAI এর আগে নূন্যতম মূল্য নেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। যদিও সেবার টেলিকম কোম্পানিগুলো এই প্রস্তাব দিয়েছিলো। কিন্তু এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অনেক কোটি টাকা লোকসানের মুখে টেলিকম কোম্পানিগুলো। এমনকি ভোডাফোন ভারতীয় মার্কেটে আর ব্যবসা করতেও রাজি নয় বলে সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে ট্রাই ভয়েস এবং ডেটার সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারণ করতে পারে।
রিলায়েন্স জিও ২০১৬ সালে ভারতীয় টেলিকম মার্কেটে প্রবেশের পর অন্যান্য টেলিকম কোম্পানিগুলোর জন্য বিপদ ডেকে আনে। ভয়েস কল ও ডেটার জন্য জিও এতো কম মূল্য নিতে শুরু করে যে, অন্য কোম্পানিগুলো জিওর সাথে পাল্লা দিতে প্ল্যান বদলাতে শুরু করে। এমনকি অনেক কোম্পানি মার্কেট ছেড়েই চলে যায়।