টেলিকম কোম্পানিগুলোর প্রত্যাশায় একপ্রকার জল ঢেলে দিলো যোগাযোগ মন্ত্রক। সেই সঙ্গে এয়ারটেল ও ভোডাফোনের জন্য যে ভারতে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়লো তা বলতে দ্বিধা নেই। বুধবার সংসদে যোগাযোগ মন্ত্রক, রবিশঙ্কর প্রসাদ পরিষ্কার জানিয়ে দেন, সরকার টেলিকম কোম্পানিগুলোর বকেয়া ছাড়ের কোনো পরিকল্পনাই করছে না।
এই মুহূর্তে সরকার লাইসেন্স ফী এবং স্পেকট্রাম ব্যবহার চার্জ হিসাবে প্রায় ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা টেলিকম কোম্পানিগুলোর কাছে পায়। যার মধ্যে জুলাই মাস পর্যন্ত লাইসেন্স ফী বাবদ ৯২,৬৪২ কোটি টাকা এবং অক্টোবর মাস পর্যন্ত স্পেকট্রাম ব্যবহার চার্জ বাবদ ৫৫,০৫৪ কোটি টাকা অন্তর্ভুক্ত।
এই টাকার বেশির ভাগই মিটাতে হবে এয়ারটেল ও ভোডাফোনকে । কারণ জিও পরবর্তীতে ব্যবসাতে আসা এবং একটি স্পেকট্রাম ( 4G) ব্যবহার করায় অনেকটাই ছাড় পেয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী ভোডাফোনের মোট বকেয়ার পরিমান ৫৩,০৩৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে লাইসেন্স ফী ২৮,৩০৯ কোটি টাকা এবং স্পেকট্রাম ২৪,৭৩০ কোটি টাকা। আবার এয়ারটেলের মোট বকেয়া ৩৫,৫৮৬ কোটি টাকা।
গত ২৪ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিলো আগামী তিন মাসের মধ্যে টেলিকম কোম্পানিগুলোকে সমস্ত বকেয়া সরকারকে মিটিয়ে দিতে হবে। এরপর ভোডাফোন ও এয়ারটেল সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিল মোট বকেয়া থেকে কিছুটা ছাড় দেওয়ার বা এর সময়সীমা বাড়ানোর। কিন্তু গত বুধবার সংসদে এই প্রশ্ন উঠলে, যোগাযোগ মন্ত্রক থেকে পরিষ্কার জানানো হয়, এই ধরণের কোনো প্রস্তাব সরকারের তরফে গৃহীত হবেনা। যার অর্থ এটাই দাঁড়ায় যে, এয়ারটেল ও ভোডাফোনকে তিন মাসের মধ্যেই বকেয়া মেটাতে হবে।