অনলাইন শপিং এ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন অনেকেই হয়েছেন। বিগত কয়েক বছরে বেশ কিছু ঘটনা সামনে এসেছে, যেখানে কাস্টমাররা কোন প্রোডাক্ট অর্ডার করার পর তার পরিবর্তে অন্য প্রোডাক্ট পেয়েছে। সম্প্রতি রকমই আরেকটি ঘটনা সামনে এলো। রিপোর্ট অনুযায়ী গত কুড়ি নভেম্বর বিষ্ণু সুরেশ নামে এক কেরলবাসী ফ্লিপকার্টে একটি ক্যামেরা অর্ডার করেছিল, যার দাম ছিল ২৭,৫০০ টাকা। তবে যেই মাত্র সে এই প্রোডাক্টটি হাতে পেল সে কল্পনাও করেনি যে তার সাথে এমন কিছু হতে চলেছে।
ক্যামেরার বদলে টালি পাঠালো ফ্লিপকার্ট :
মালালা মনোরমা’র রিপোর্ট অনুযায়ী, সুরেশ গত ২৪ নভেম্বর ইকার্ট লজিস্টিক থেকে প্রোডাক্টটি হাতে পায়। এরপর প্যাকেট খুলে সে দেখে বক্সের মধ্যে ক্যামেরা মেনুয়াল এবং ওয়ারেন্টি কার্ড এর সাথে বেশ কিছু টালির কুচি। যদিও ক্যামেরায় কোন অস্তিত্বই নেই। এরপর সুরেশ ফ্লিপকার্ট কাস্টমার কেয়ারের সাথে যোগাযোগ করে এবং রিটেলার তাকে কথা দেয় যে এক সপ্তাহের মধ্যে তার কাছে প্রোডাক্ট পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
দিনে দিনে যেখানে অনলাইন শপিংয়ের প্রবণতা মানুষের মধ্যে বাড়ছে, এই ঘটনা যেন তার ঠিক বিপরীত অর্থ বহন করে। মালালা মনোরমা-র পক্ষ থেকে এরপর ফ্লিপকার্ট এর সঙ্গে এই ভুল সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, তারা সঠিক কোনো কারণ জানাতে চাননি। যদিও এই ঘটনা নতুন নয়। এই ধরনের বহু ঘটনা সামনে এসেছে যেখানে দেখা গেছে ডেলিভারি বয় ইচ্ছাকৃতভাবে প্রোডাক্টটি বার করে নিয়ে অন্য প্রোডাক্ট ডেলিভারি করেছে।
গত বছরেও এক ব্যক্তি ফ্লিপকার্টে আইফোন ৮ অর্ডার করে সাবানের কেস পেয়েছিল। এই ধরনের ঘটনা থেকে বাঁচতে আমাদেরকে কোন প্রোডাক্ট ডেলিভারি হওয়ার পর, সেটি খোলার সময় ভিডিও রেকর্ড করে রাখা উচিত। অন্যথায় ই-কমার্স সাইট গুলো অভিযোগ অস্বীকার করে থাকে।