আপনি যদি সম্প্রতি সময়ে প্রিন্টার বা কার্টিজ কিনতে বাজারে যান,তাহলে সাবধান হোন। অন্যথায় আপনি ঠকতে পারেন। আসলে বাজারে HP এর বহু নকল প্রিন্টার বিক্রি হচ্ছে। এইচপি নিজেই এই তথ্য দিয়েছে। ডুপ্লিকেট প্রিন্টার বিক্রয় বন্ধ করতে কোম্পানি একটি অ্যান্টি-কাউন্টার ফিটিং এন্ড ফ্রড (এসিএফ) প্রোগ্রাম চালু করেছে। এই প্রোগ্রামটি নকল কালি এবং টোনার প্রিন্টিং উৎপাদন, বিক্রিকে বাধা দেবে।
দিল্লিতে মিলছে সবচেয়ে বেশি জাল প্রোডাক্ট :
এই প্রোগ্রামে এইচপি গত বছরে বিভিন্ন দোকানে তল্লাশি চালিয়ে ৮০ কোটি টাকার ডুপ্লিকেট প্রোডাক্ট উদ্ধার করেছিল। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি নকল প্রোডাক্ট পাওয়া গিয়েছিলো দিল্লিতে, সেখান থেকে ৩৩.৫ কোটি টাকার নকল প্রোডাক্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। দিল্লি ছাড়াও ২২ কোটি টাকার নকল প্রোডাক্ট পাওয়া গিয়েছিলো ব্যাঙ্গালুরুতে, আবার মুম্বাই ও চেন্নাই থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল যথাক্রমে ৬.৫ কোটি এবং সাড়ে ৩ কোটি টাকার ডুপ্লিকেট প্রোডাক্ট।
১৪৪ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছিল :
এনফোর্সমেন্ট অফিসাররা সারা দেশের ১৭০ টিরও বেশি দোকানে অভিযান চালিয়ে মোট ১৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। অভিযানকালে উদ্ধারকৃত সামগ্রীর মধ্যে ছিল অসম্পূর্ণ কার্টিজ, প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল এবং অন্যান্য বিভিন্ন লেবেল। এগুলি নকল এইচপি প্রিন্ট বিক্রির সময় ব্যবহার করা হতো। এইচপির একজন কর্মকর্তা এবিষয়ে বলেছেন, নকল প্রোডাক্ট বাজারে চলে আসায় তাদের ব্র্যান্ডের যেমন বদনাম হচ্ছে, তেমনি লোকসান হচ্ছে।
শুধু এইচপি নয়, জনপ্রিয় ব্র্যান্ড শাওমির কিছু নকল প্রোডাক্টও বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের দল ও শাওমির প্রতিনিধিরা স্থানীয় গাফফার মার্কেটের কয়েকটি দোকানে অভিযান চালিয়েছিল। এরপর সেখান থেকে ২,০০০ এর বেশি শাওমির ডুপ্লিকেট প্রোডাক্ট পাওয়া যায়, যার মূল্য প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা।