CAA এবং NRC কে নিয়ে প্রতিবাদের কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এখনো ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। এরফলে সাধারণ মানুষ যেমন সমস্যায় পড়ছেন, সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে টেলিকম কোম্পানিগুলো ও। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার ফলে কোটি কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে তাদের। COAI ( সেলুলার অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া) এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ইন্টারনেট বন্ধের কারণে টেলিকম কোম্পানিগুলোর লোকসানের পরিমান প্রতি ঘন্টায় আড়াই কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত গত ১৫ ডিসেম্বরের পশ্চিমবঙ্গের ৪ টি জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। এছাড়াও আসাম, মেঘালয়েও বন্ধ রাখা হয়েছিল ইন্টারনেট। আজ অর্থাৎ ২৭ ডিসেম্বরেও উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকটি বড়ো বড়ো শহরে ইন্টারনেট উপলব্ধ নেই। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে বহু ভুয়ো খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ছড়িয়ে পড়ছে বলেই ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছে।
COAI কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি চিঠিও তে লিখেছে, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে টেলিকম সংস্থাগুলির ক্ষতির পরিমান দিন দিন বাড়ছে । তবে সিওএআইয়ের এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। আমরা সবাই জানি যে ভারতের টেলিকম কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যে বিপুল ক্ষতির বোঝা মাথায় নিয়ে বসে আছে, যার কারণে কিছুদিন আগে তারা প্ল্যানের দাম ও বাড়াতে বাধ্য হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোম্পানিগুলোর অবস্থা যে আরো শোচনীয় হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
সিওএআই চেয়ারম্যান রাজন ম্যাথিউজ কিছুদিন আগেই সাংবাদিক সম্মেলনে এবিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, রাজস্থানে কাগজ ফাঁসের ঘটনা বা জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা লাগু করার পর ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু এরফলে টেলিকম কোম্পানিগুলোকে ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
এদিকে অ্যাক্সেস নাউ এর এই সমীক্ষায় দেখা গেছে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট বন্ধের ৬৭ শতাংশ ঘটনা ভারতে ঘটে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ রিসার্চ অন ইন্টারন্যাশনাল ইকনমি রিলেশনস ও এই সমীক্ষাকে সমর্থন জানিয়ে বলেছে, ইন্টারনেট বন্ধের মামলায় ভারত অন্যান্য দেশের তুলনায় এগিয়ে আছে।রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১২ সাল থেকে ভারতে এই নিয়ে ৩৭৩ বার ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছে।