সফটওয়্যার কোম্পানি মাইক্রোসফট স্বীকার করে নিলো যে, সম্প্রীতি ঘটা কয়েকটি ডেটা ফাঁসের ঘটনায় ২৫ কোটি ব্যবহারকারীর ডেটা ফাঁস হয়েছে। বব ডিচেনকোর কমপিট সিকিউরিটি রিসার্চ টিম এই তথ্য দিয়েছে। রিসার্চাররা জানিয়েছেন, প্রায় ২৫ কোটি গ্রাহকের কাস্টমার সার্ভিস সাপোর্ট রেকর্ড, ওয়েবে খুল্লামখুল্লা মজুত ছিল।
মাইক্রোসফ্টও নিশ্চিত করেছে যে, ‘ইন্টারনাল কাস্টমার সাপোর্ট ডাটাবেসের মিসকনফিগারেশন’ এর কারণে এই ডেটা ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। এই ডেটারগুলির মধ্যে গত ১৪ বছর ধরে মাইক্রোসফ্ট সাপোর্ট এজেন্ট এবং গ্রাহকদের মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছে, তার রেকর্ড ছিল। মাইক্রোসফট জানিয়েছে, এই ত্রুটিটি ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ এ ঠিক করা হয়েছে।
এই তথ্য ফাঁস হয়েছে :
রিসার্চাররা বলেছেন যে, লিক ডেটাতে গ্রাহকের ইমেল অ্যাড্রেস, আইপি অ্যাড্রেস, লোকেশান, মাইক্রোসফ্ট সাপোর্ট এজেন্ট ইমেল, কেস নম্বর, রেজোলিউশন এবং রিমার্ক এর মতো তথ্য ছিল। যদিও ফাঁস হওয়া তথ্যের বেশিরভাগ অংশ প্লেন টেক্সট আকারে ফাঁস হয়েছে।
এদিকে গত রবিবার মাইক্রোসফট কর্পোরেশন একটি প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, তাদের ব্রাউজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে একটি মেজর সিকিউরিটি ফ্লো ঘটে গিয়েছে। সিকিউরিটি ফ্লোয়ের মাধ্যমে হ্যাকাররা বেশ কয়েকটি টার্গেটেড অ্যাটাক পরিচালনা করেছে।
এই সিকিউরিটি সমস্যার প্রধান কারণ ছিল একটি রিমোট কোড এক্সেকিউশন। এই কোড এক্সিকিউশন ব্যবহার করে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে জমে থাকা কোন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাক করে ফেলাও সম্ভব। ইতিমধ্যেই হ্যাকাররা বেশ কয়েকজন ব্যবহারকারীর কম্পিউটার প্রোগ্রাম হ্যাক করেও নিয়েছে। এই হ্যাক করার মাধ্যমে ওই ব্যবহারকারীর সমস্ত ইমেইল মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট হ্যাকারের হাতে পৌঁছে যায়, এবং পাশাপাশি ওই ব্যবহারকারীর নামে হ্যাকার অন্য একটি অ্যাকাউন্টও খুলে ফেলতে পারে। বিশেষভাবে তৈরি একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একটি বিশেষ ইমেইল পাঠিয়ে এই হ্যাকিং করা হচ্ছে।